ইঞ্জিন অয়েল এর পরিবর্তন: সাধারণত ৮০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার চালানোর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হয়। এই পরিমান পথ চালানোর পর ইঞ্জিন অয়েলের কার্যকারিতা কমে আসে ফলে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা জরুরী হয়ে পরে। Bike engine oil প্রকারভেদ: বাজারে বিভিন্ন কোম্পানী ও বিভিন্ন গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায়। ইঞ্জিন অয়েলের ধরন: সাধারণত ৮০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার চালানোর পরে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হয়। মটরসাইকেলের ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে তিনিটি জিনিস একসাথে কাজ করে অর্থাৎ একটি মটরসাইকেলে ইঞ্জিন, গিয়ার বক্স ও ক্লাচ একসাথে কাজ করে একটি ইউনিট হিসেবে । অন্যান্য যানবাহন এর ক্ষেত্রে এই তিনটি জিনিস আলাদা আলাদা কাজ করে আলাদা ইউনিট হিসেবে। তাই মটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল অন্যান্য যানবাহন এর ইঞ্জিন অয়েল থেকে আলাদা এবং মটরসাইকেলে শুধুমাত্র মটরসাইকেলের জন্য তৈরি ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করতে হয়। অন্যান্য যানবাহন এর জন্য ভিন্ন ধরনের ইঞ্জিন অয়েল তৈরি করা হয়। তাই ইঞ্জিন অয়েল কেনার সময় অবশ্যি লক্ষ্য রাখতে হবে যে ইঞ্জিন অয়েলটি শুধুমাত্র মটরসাইকেলের জন্য প্রস্তুত কিনা। এবার আসি ইঞ্জিন অয়েলের ভিন্নতায়, সাধারণত মিনেরাল অয়েল ৮০০ থেকে ১০০০ কিমি চালানোর পরে পরিবর্তন করতে হয় অন্যদিকে সিনথেটিক অয়েলে আপনি মিনেরাল চেয়ে অনেক বেশি পথ চালিয়ে পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে এখানে বলে রাখা ভালো যে মটরসাইকেলের জন্য নয় এরুপ ইঞ্জিন অয়েল মটরসাইকেলে ব্যাবহার করা মটরসাইকেলের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। ইঞ্জিন অয়েলের স্ট্যান্ডার্ড: বিভিন্ন কোম্পানী অনুযায়ী ইঞ্জিন অয়েলের মান নির্ধারিত হয় যেমন, API – American Petroleum Institute JASO – Japanese Automotive standards Organization ILSAC – The International Lubricant Standardization and Approval Committee ASTM – American Society for Testing Materials বাংলাদেশে সাধারণত বিভিন্ন দেশ থেকে ইঞ্জিন অয়েল আমদনী করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, আরব আমিরাত থেকে ইঞ্জিন অয়েল আমদানী করা হয়। বাংলাদেশের প্রাপ্ত ইঞ্জিন অয়েলের মধ্যে Shell, Mobil, Caltex, Visco, BP, Total, Cepsa, Motul, Havoline, Caltex, Castrol Active এগুলো জনপ্রিয়। ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন পদ্ধতি: ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে ইঞ্জিন অয়েল যেন ইঞ্জিনের মাত্রা অর্থাৎ আপার লেভেল ও লোয়ার লেভেল এর মধ্যে থাকে। কোথাও কোনদিক থেকে যেন তেল না পরে তার দিকেও লক্ষ্য রাখতে ধবে। এরপর নিচের নির্দেশিত পদ্ধতি অনুযায়ী ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্ত্ন করুন। কোন সমতল স্থানে মেইন স্ট্যানে মটরসাইকেলটি দাঁড় করুন। ইঞ্জিনটি ৪-৫ মিনিট চালু করে রাখুন । এবার ইঞ্জিনটি বন্ধ করে ডিপস্টিক খুলে ফেলুন । ডিপস্টিকটিকে পরিষ্কার করুন এবং আবার এটিকে যথাস্থানে সেট করুন। সাবধান থাকবেন যাতে প্যাচ লেগে না যায়। ডিপস্টিকের আপার লেভেল ও লোয়ার লেভেল পর্যন্ত ইঞ্জিন অয়েল থাকবে। যাদি ইঞ্জিন অয়েল লোয়ার লেভেল ছুঁই ছুঁই করে তাহলে বুঝতে হবে যে তেল দিতে হবে এবং এ সময় আপার লেভেল পর্যন্ত তেল ভরে দিতে হবে। ডিপস্টিক আবারো তার স্থানে দিয়ে পরীক্ষা করুন কোন ছিদ্র রয়েছে কিনা।

Comments